বরুড়ার ফেয়ার হসপিটালে অপারেশনের সময় এক রোগীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দুই চিকিৎসক

 বরুড়ার ফেয়ার হসপিটালে অপারেশনের সময় এক রোগীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করার অভিযোগে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল রাতে বরুড়ার পৌর এলাকার বরুড়া সদরের কাশেম সফিউল্ল্যাহর মেয়ে কাজলের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। ওই দিন রাতেই স্বজনরা তাকে বরুড়া ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি করান। ১৩ এপ্রিল ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব মেয়েটির পেট অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পরও কয়েকদিন পেটে ব্যাথা ও জ্বর থাকায় ডা. মো. ইকবাল হোসেনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে এবং তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন। এরপর দুই মাসেও ব্যথা না কমায় পরীক্ষানীরিক্ষা করে দেখা যায়, রোগীর পেটের ভেতর তুলা ও গজ রয়েছে। এরপর রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আবারও অপারেশন করা হয়। এ ঘটনায় রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর রোববার কুমিল্লা আদালতে দুই চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, 'অপারেশনের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। রোগী যেদিন হসপিটাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে সেদিনও আমি হসপিটালে ছিলাম না। তবে পরে রোগীকে ওষুধ লিখে দিয়েছিলাম।' রোগীর অবস্থা না বুঝে কিভাবে ওষুধ দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ওই সময় রোগীর মাসিকের সময় ছিলো। আমি মাসিক হবে মনে করে ওষুধ দিয়েছি। অপারেশন করিয়েছেন ডা. রাজিব।

দু'জনের সমন্বয় ছাড়া অপারেশন কিভাবে হলো এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ডা. ইকবাল। অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার রাশেদ উজ-জামান রাজিব বলেন, 'ঘটনার পর যেহেতু চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, তাই আমি বিস্তারিত জেনেই কথা বলবো।'