সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু আর নেই



করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।


বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল তার মৃত্যুর বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন




আজ ১৪ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ৪ টা বেজে ৪৫ মিনিটে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


এর আগে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে মতিন খসরুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) নেওয়া হয়।


জানা যায়, গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ১ এপ্রিল আব্দুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (লাইফ সাপোর্ট) নেওয়া হয় এবং তার পরদিন ১৪ এপ্রিল (বুধবার) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথিতযশা বিজ্ঞ আইনজীবী, সাবেক আইন মন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু নিজ দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই তাকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়।


আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি  কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।